পাটগ্রামে সাংবাদিকের উপর প্রকাশ্যে হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রচার সম্পাদক ও পাটগ্রাম উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে নিন্দা ঝড় উঠেছে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলেও এখনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ।

সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে পাটগ্রামের বাইপাস উপশহরে প্রকাশ্যে এ হামলা করেন ফারুক নামে এক পাথর উত্তোলনকারীসহ তার কয়েকজন সহযোগী সন্ত্রাসী। এঘটনায় পাটগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম।

পাটগ্রামে সাংবাদিকের উপর হামলাকারী ফারুক

জানা যায়, দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম সম্প্রতি পাটগ্রাম উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় এই হামলার শিকার হন। একই উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের ফারুক ও তার সহযোগীরা মিলে বাইপাস মোড়ে সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা করাসহ পরবর্তীতে সংবাদ প্রকাশ হলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।

এবিষয়ে শফিকুল জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্পটে অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে ফারুক ও তার সহযোগীরা। এবিষয়ে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করি। সেই সুত্রের জেরে গতকাল দুপুরে হঠাৎ করে ফারুকসহ কয়েকজন আমাকে অতর্কিতভাবে মারপিট করে এবং আমাকে ও আমার পরিবারকে দেখে নেওয়াসহ প্রকাশ্যে প্রান নাশের হুমকি দেয়।

পরবর্তীতে হামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠলে ফারুক ও তার সহযোগীরা বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করে।

তবে এঘটনায় ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ হলে জানায় যে, শফিকুলের কাছে টাকা পাই সেজন্য দেখা করেছি। তাকে কোন মারধর করা হয়নি। তবে পাথর উত্তোলন করার মেশিন চালানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা মিথ্যা, আমি কোনো হুমকি দেইনি।

এঘটনায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইউনুস আলী এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, হামলা করে সাংবাদিকদের লিখনি বন্ধ করতে পারবেনা সন্ত্রাসীরা। সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।

পাটগ্রাম থানার অফিসার্স ইনচার্জ উমর ফারুক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।