লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সেই আওয়ামিলীগ নেতা রকিব হাসানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন এক প্রবাসী কর্মজীবী নারী।
লালমনিরহাট সদর থানায় দেওয়া অভিযোগ,ভুক্তভোগীর বক্তব্য, তার পরিবার ও পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসীর কথায় জানা যায়, অভিযুক্ত মো: রকিব হাসান (৩৬),পিতা মৃত আলতাব হোসেন, সাং- সাতপাটকি,মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন। সে একজন অসৎ চরিত্রের লোক। ভুক্তভোগীর বাড়ি হইতে ৫ /৬ শত গজ দূরেই তার বাড়ি। আনুমানিক দেড় মাস পূর্বে তিনি বিদেশ হইতে বাড়িতে আসেন। এরপর থেকেই রকিব বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিত। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয় এবং তার ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুজতে থাকে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ভুক্তভোগী তার উত্তর ভিটার দক্ষিণ দুয়ারী শয়ন ঘরে আলনায় কাপড় গোছগাছ করার সময় উক্ত রকিব পেছন দিক থেকে জাপটাইয়া ধরে খাটের উপর ফেলাইয়া জোর পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী চিৎকার করিলে তার মেয়ে এবং মেয়েজামাতা ছুটে এসে উক্ত ঘটনা দেখে। এরপর আসামিকে আটক করার চেষ্টা করিলে সে অবস্থা বেগতিক দেখে পালাইয়া যায়। এরমধ্যে আশেপাশের লোকজন তাকে পালাইয়া যাইতে দেখে।
উল্লেখ্য, এই সেই রকিব হাসান যিনি, ১১ ফেব্রুয়ারী মহেন্দ্রনগরে আওয়ামিলীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলা মামলার সময় নিজের বাড়ির চারটি গরু পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলায় শশুর মহজ্জলের বাড়িতে রেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকারি দলের নিকট সুবিধা ভোগ করতে চেয়েছিলো।
এরপর ঘটনা জানাজানির ভয়ে গরুগুলো বিক্রয় করে দেয় রকিবের শশুর বাড়ির লোকজন। সে খবর লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ জানতে পারে। এরপর গরুগুলো উদ্ধারের জন্য সদর থানার ওসি তদন্ত মোজ্জাম্মেল হক পুলিশের একটি টিম নিয়ে রওনা দিলে রকিবের শশুর বাড়ির লোকজন দ্রুত ক্রেতাকে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে গরুগুলো ফেরত নিয়ে রাজারহাট এবং টগরাইহাট এলাকার ফাকা জায়গায় ফেলে রাখে। পরে গভীর রাতে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখায় পুলিশের টিম।
পরবর্তীতে গরু লেনদেনের বিভিন্ন ভিডিও এবং অডিও প্রকাশ করে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে।
ধর্ষণ চেষ্টার মামলার বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল হক লালমনিরহাট নিউজ২৪ কে বলেন, এ সংক্রান্ত একটা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।