মেহেদী হাসান জুয়েল || মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা ” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কর্মসূচীর তৃতীয পর্যায়ে লালমনিরহাট জেলায় ৬৯৬টি পরিবার নতুন বাড়ি পাচ্ছেন।
এবার ৩য় পর্যায়ে লালমনিরহাট জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১১৮৪টি অসহায় পরিবার নতুন বাড়ি এবং জমির দলিল পাচ্ছেন।
বরাদ্দকৃত গৃহ নির্মানের আওতায় ইতিমধ্যে ৬৯৬টি গৃহ নির্মান সম্পন্ন হওয়ায় ঈদ উপহার হিসেবে বাড়িগুলো দেওয়া হচ্ছে। বাঁকী ৪৮৮টি’র নির্মান কাজ চলছে।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর তাঁর সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে আরও মজবুত ভিত্তি ও আরও গুনগত মানসম্পন্ন বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়ির নির্মান বাবদ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে এই পর্যায়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল সারাদেশে একযোগে তৃতীয় পর্যায়ের জমির দলিল ও নির্মানকৃত গৃহসমূহের চাবি প্রদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন ঐ দিন লালমনিরহাট জেলার মোট ৬৯৬টি গৃহের জমির দলিল এবং চাবি হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬০টি, আদিতমারী উপজেলায় ২১২টি, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৯৬টি, হাতীবান্ধা উপজেলায় ৫০টি এবং পাটগ্রাম উপজেলায় ১৭৩টি।
জেলা প্রশাসক জানান মুজিববর্ষে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে এই পর্যায়ে এসব ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমিসহ গৃহ নির্মান করে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য এই কার্যক্রমের আওতায় লালমনিরহাট জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯৭৮টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯১৫টিসহ মোট ১৮৯৩টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ইতিমধ্যে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.আর.সারোয়ার, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা মাসুম সহ গণমাধ্যমে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকবৃন্দ।